খবরের চোখ
সব সময়

বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিত্যাক্ত ভবন থেকে মহিলার গলা ও পেট কাটা লাশ উদ্ধার

0

- Advertisement -

মজমুল হক, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন বুড়িরহাটে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ১টি পরিত্যাক্ত ভবন থেকে নিখোঁজের ৪ দিন পর আজ রোববার( ২০ ফেব্রুয়ারি ) এক বিধবা মহিলার গলা ও পেট কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গবেষণা কেন্দ্রের পাহাড়াদার সহিদুল পলাতক রয়েছে। মৃত রাহেলা বেগম (৩৫) গবেষণা কেন্দ্রের পাশে নিলকচন্ডীর গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করত। তার স্বামী মৃত মনজাব আলী।

গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার সকালে ১ পাহাড়াদার গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলকা ঘুরে দেথে। ঘুরে দেখার সময় পাহাড়াদার ওই পরিত্যাক্ত ভবনটির একটি দরজা খোলা দেখতে পায়। ভবনের দরজা খোলার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে।

কর্তৃপক্ষ তাকে কাঠ ও পেরেক দিয়ে দরজাটি বন্ধ করতে বলে। পাহাড়াদার কাঠ ও পেরেক নিয়ে দরজা বন্ধ করতে গেলে ভবনের ভিতরে মহিলার লাশ দেখতে পেয়ে সে দ্রুত বিষয়টি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে জানায়। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

এছাড়া ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডির একটি টিম ও অতিরক্তি পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন হাজির হয়। মহিলাকে হত্যার আগে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা তা যাছাইয়ের জন্য বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

- Advertisement -

এদিকে মৃত মহিলার ভাই বাচ্চু ও মন্টু জানান, তার বোন স্থানীয় একটি জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতো। গবেষণা কেন্দ্রের পাহাড়াদার সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলের সঙ্গে তার সর্ম্পক ভাল ছিল। বোন তার মাধ্যমে ব্যাংকে ডিপিএস খুলে। ওই ডিপিএসের মেয়াদ ৬ মাস আগে শেষ হয়। ডিপিএসের টাকা উত্তোলনের জন্য রাহেলা সহিদুলের কাছে ঘুরতো। সহিদুল আজকাল করে সময় অতিবাহিত করে আসছিলো।

গত বুধবার সকালে ডিপিএসের টাকা উত্তোলনের জন্য রাহেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ওইদিন থেকে সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় গত শনিবার গঙ্গাচড়া মডেল থানায় বোন আছিমোন নিখোঁজের বিষয়টি অবগত করে। নিখোঁজের ৫দিনে মাথায় বোনের গলা ও পেট কাটাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ অবস্থায় পাহাড়াদার সহিদুলের বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত ভবনে পাই।

তারা আরো বলেন, সহিদুল ডিপিএসের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্বসাতের জন্য রাহেলাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। রাহেলা ১৭ বছরের একমাত্র ছেলে রায়হান ঢাকায় কাজ করতো। সে মায়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে শনিবার ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। রায়হান তার মায়ের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারী এমদাদ হোসেন মিয়া জানান, সহিদুল বুধবার ডিউটি করে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করে শুক্রবার আমাকে ফোন করে ৪ দিনের ছুটি চাইলে আমি তাকে লিখিত ছুটির আবেদন করতে বলি। কিন্তু সে কোন ছুটির আবেদন না দিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন জানান, হত্যার কারী এবং এর সাথে কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত্যাকারী চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি আরো জানান, হত্যার আগে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা তা সিআইডি টিম খতিয়ে দেখছে।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিষ কুমার সাহা বলেন, গবেষণা কেন্দ্রের পরিত্যাক্ত ভবনে এ মর্মান্তিক ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তা উৎঘাটনে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.