খবরের চোখ
সব সময়

সৈয়দপুরে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিবাহের পর যৌতুকের চাপে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা

0

- Advertisement -

সরকার সালাহউদ্দীন সুমন বিশেষ প্রতিনিধি:

- Advertisement -

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা। শ্বশুড়-শাশুড়ির টাকার দাবিতে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তবে এলাকার লোকজন জানান, প্রিয়াঙ্কার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে মারা যাওয়ার পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৬ মাস আগে সৈয়দপুর শহরের পুরাতন মুন্সিপাড়া মহল্লার দিনমজুর পাপ্পু হোসেনের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার (১৪) সাথে বিয়ে হয় শহরের মিস্ত্রিপাড়া মহল্লার বাদশা মিয়ার ছেলে বিজয়ের (১৬) সাথে। মাত্র ৬ মাসের মাথায় যৌতুকের বলি হয়েছেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা। শ্বশুড়-শাশুড়ির টাকার দাবিতে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায়।বিজয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আর প্রিয়াঙ্কা পড়তো এনজিও পরিচালিত ও ব্যাট ব্যাক টু স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে। তারা দু’জনে ভালোবেসে বিয়ে করে।
একপর্যায়ে যৌতুক নিয়ে চাপ দিতে থাকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী ও পরিবারের লোকজন। তার উপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। এ অবস্থায় ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নিজ শোয়ার ঘরে সিলিংয়ে ওড়ানা পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে প্রিয়াঙ্কা। বাড়ির লোকজন দ্রুত তাঁকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে মারা যান তিনি।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.