খবরের চোখ
সব সময়

লাঞ্চিত প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্র ছেড়ে পালালেন শিক্ষা অফিসার: ডিজি প্রতিনিধি

0

- Advertisement -

সরকার সালাহউদ্দীন সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি:

নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নীলফামারী ডোমারের দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিকের শার্টের কলার ধরে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে কেতকি বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (৭,৮,৯ ) নং ওয়ার্ড সদস্য জেবুনেছা বেগমের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতর দৃশ্য দেখে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা না দিয়েই দ্রুত কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যান ডোমার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম ও ডিজি প্রতিনিধি সাহেনা বেগম।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় দক্ষিণ চান্দখানা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

অভিযোগে জানা গেছে অফিস সহকারি,পরিচ্ছন্নতা কর্মী,আয়া ও অফিস সহায়ক এই চারটি পদে ৪১ জন আবেদন করেন, অনিয়ম, আত্মীয়করণ ও প্রতিটি পদের বিপরীতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্যের পরিকল্পনা করছিল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন (ভোলা মেম্বার) ও প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক।

মোছাঃ রত্না আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ডোল মেম্বার) নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছে।কিন্তু এখন তাকে নিয়োগ না দিয়ে সভাপতির মেয়ে ও নাতিকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন।

- Advertisement -

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যা জেবুনেছা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক প্রামানিক জানান, সকলের সামনে আমাকে ইউপি সদস্যা জেবুনেছা বেগম লাঞ্ছিত করেছে এ কথা কি বারবার বলতে হয়, ইউপি সদস্যা জেবুননেছার স্বামী সলেয়মান বিএনপি করে। তিনি নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল করার নানান ষড়যন্ত্র করছে।

স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন (ডোলা মেম্বার) জানান, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরীক্ষায় যে উত্তীর্ণ হবে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। তার মেয়ে ও নাতীকে নিয়োগ দেওয়ার কথাটি তিনি অস্বীকার করেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ হয়েছে আমরা নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি এসময় ইউপি সদস্যা জেবুনেছা বেগম রুমে এসে কেন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে এ কথা বলে প্রধান শিক্ষকের জামার কলার ধরে মারপিট শুরু করেন, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল যেন আমাদের গায়ে ও লাঠির আঘাত পড়বে এই ভয়ে আমরা কোন প্রকার পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ না দিয়েই চলে আসি। সেখানে বিশৃঙ্খলার কারনে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ নেই। তাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অফিসে ডাকা হয়েছে। এবং তাদের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম( বিপিএএ) জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মো: সাইফুর রহমান জানান, একজন জনপ্রতিনিধি কোনভাবেই এ ধরনের কাজ করতে পারে না , অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.