আদালত প্রতিবেদক:
গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ ৷ একইসঙ্গে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে ৷
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৬ মে) বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট ব্রেঞ্চ এ রুল জারি করেন ৷
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ ৷ এর আগে ২ মে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ৷
পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান ৷
নোটিশ পাঠানোর পর ওই আইনজীবী জানান, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন ৷ অথচ আছে ৯ শতাংশ ৷
প্রচন্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়গা ৷ ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো ৷ দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয় ৷ ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে ৷ কিন্তু সেখানে কোন গাছ লাগানো হয়নি৷ দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই ৷