রাজধানীর ধানমণ্ডিতে কাকলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ ৷ তারা সকলেই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত এবং শাস্তির দাবি জানান ৷
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সুযোগ সন্ধানী দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ স্বেচ্ছা ছুটির অজুহাতে গা ঢাকা দিয়ে আছেন ৷ কৌশলগতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ধারা অব্যাহত রেখেছেন ৷
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের একটাই দাবি অধ্যক্ষ দিন মোহাম্মদকে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেওয়া ৷
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিগত ৭ বছর ধরে একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এডহক কমিটি গঠন করে গভর্নিং বডির সদস্য না রেখেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন তিনি ৷
শিক্ষকরা আরও জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করেও ব্যাপকভাবে আধিপত্য ধরে রাখেন ৷
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্মারক নম্বর: ০৫.৪১.৩০০০.০২১.৯৯.০০২.২৪-১৩৫ বিভাগীয় কমিশনারের সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ৷
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় এবং তার নিয়মিত অনুপস্থিতির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তালিকায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম আটজন অপারগতা প্রকাশ করে অনাপত্তি দেওয়ায় জ্যেষ্ঠতার নবম শিক্ষক উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রভাষক মোরশেদা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো ৷
প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ পদত্যাগ করেন নাই ৷ সর্বমহলে এখন এই অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি ৷
কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরেজমিনে দেখা যায় মুল গেট আটকানো ভিতরে ২ দুজন পুলিশ সদস্য ও একজন দারোয়ান বসে আছে ৷ তারা গেট খুলতে এবং এ বিষয়ে বক্তব্যে দিতে রাজি না ৷
এরপর প্রতিষ্ঠানটির 55000841 ও 55000842 নম্বরে রিং হলেও কেউ রিসিভ করে নাই ৷